অনলাইন ডেস্ক, ৩০ জানুয়ারী।। জাতিসংঘের দুই কর্মকর্তাকে হত্যার দায়ে ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে (ডিআর কঙ্গো) ৫১ জনের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। শনিবার (২৯ জানুয়ারি) মধ্য আফ্রিকার দেশটির একটি সামরিক আদালত ৫১ জনের ওই মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন।
ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে হত্যাকাণ্ডের শিকার জাতিসংঘের ওই দুই কর্মকর্তার নাম জাইদা কাতালান ও মাইকেল শার্প। জাইদা সুইডেনের নাগরিক এবং শার্প মার্কিন নাগরিক ছিলেন। ২০১৭ সালে তারা হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।
প্রায় পাঁচ বছর ধরে শুনানি চলার পর শনিবার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করা হয়। অবশ্য মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অনেক আসামি রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
সামরিক আদালতের প্রসিকিউটররা ৫৪ জন অভিযুক্তের মধ্যে ৫১ জনের মৃত্যুদণ্ড দাবি করেছিলেন। যদিও তাদের ২২ জন পলাতক রয়েছেন এবং তাদের অনুপস্থিতিতেই বিচারকার্য চলেছে।
হত্যাকাণ্ডের শাস্তি হিসেবে কঙ্গোতে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার ঘটনা খুবই সাধারণ। কিন্তু ২০০৩ সালে দেশটি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ওপর স্থগিতাদেশ ঘোষণা করার পর থেকে নিয়মিতভাবে সেগুলো যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে রূপান্তরিত হয়েছে। আর তাই অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
২০১৭ সালের মার্চ মাসে কঙ্গোর মধ্যাঞ্চলীয় কাসাই অঞ্চলে সুইডিশ বংশোদ্ভূত জাইদা কাতালান ও মার্কিন নাগরিক মাইকেল শার্পকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়।
কঙ্গোর সরকারি বাহিনীর সঙ্গে একটি জঙ্গিগোষ্ঠীর সংঘর্ষের সময় বহু মানুষকে হত্যার পর গণকবর দেওয়ার বিষয়ে একটি অভিযোগ নিয়ে তদন্তের জন্য ওই দুই কর্মকর্তা দেশটিতে গিয়েছিলেন।