অনলাইন ডেস্ক, ২ নভেম্বর।। আন্তর্জাতিক হ্যান্ডবল ফেডারেশন নারীদের ইউনিফর্ম বিষয়ে তাদের নিয়মে পরিবর্তন এনেছে। ফলে এখন থেকে আর মেয়েদের বিকিনি পরা বাধ্যতামূলক থাকছে না।
বিকিনি বটমের পরিবর্তে শর্টস পরার দায়ে নরওয়ের হ্যান্ডবল টিমকে জরিমানা করার পর সমালোচনার মুখোমুখি হওয়ায় এই পরিবর্তন এনেছে আন্তর্জাতিক হ্যান্ডবল ফেডারেশন।
দ্য গার্ডিয়ান সোমবার এক প্রতিবেদনে বলেছে যে, ফেডারেশন গত এক মাসে নীরবে তার নিয়মগুলোতে পরিবর্তন এনেছে। নতুন নিয়মে বলা হয়েছে যে, ‘নারী ক্রীড়াবিদদের অবশ্যই আটোসাটো ছোট টাইট প্যান্ট পরতে হবে’।
গত জুলাইয়ে নরওয়ের নারী হ্যান্ডবল দল ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে বিকিনি বটমের পরিবর্তে শর্টস পরে এসেছিল। এজন্য দলটিকে ১৫০০ ইউরো বা প্রায় ১৭৬০ ডলার জরিমানা করা হয়।
সেই সময়ে নিয়ম ছিল যে, নারীদের ‘একটি টাইট-ফিটিং স্লিভলেস স্পোর্টস ব্রা এবং নীচে বিকিনি বটম পরতে হবে যা ‘দুই পাশে ১০ সেন্টিমিটারের বেশি’ হতে পারবে না। অথচ পুরুষরা শর্টস এবং ট্যাঙ্ক টপস পরে খেলতে পারত। বিষয়টি নিয়ে নারীদের দিক থেকেই প্রতিবাদের ঝড় উঠে। নারীরা অভিযোগ করেন যে, যৌন বস্তু হিসেবে উপস্থাপনের জন্যই তাদেরকে অতি বেশি খোলামেলা পোশাক পরানো হচ্ছে।
ফেডারেশনের নতুন নিয়মে নারীদের জন্যও শর্টস এবং ট্যাঙ্ক টপ পরার সুযোগ রাখা হয়েছে। যেখানে পুরোনো নিয়মে তাদের কেবল বিকিনি বোটম এবং স্পোর্টস ব্রা পরার সুযোগ ছিল।
গত এপ্রিলে জার্মানির নারী জিমন্যাস্টিকস দলের সদস্যরাও ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপে প্রতিযোগিতা করার সময় তাদেরকে যৌন বস্তু হিসেবে উপস্থাপনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে পূর্ণ দৈর্ঘ্যের বডিস্যুট পরেছিলেন। গ্রীষ্মকালে টোকিও অলিম্পিকেও তারা লম্বা স্যুট পরেন।
জিমন্যাস্ট সারাহ ভস বলেন, ‘স্প্লিটস এবং জাম্প এর সময় কখনও কখনও ছোট পোশাকগুলো সবকিছুকে ঢেকে রাখতে পারে না, কখনও কখনও তা পিছলে যায় এবং সেই কারণেই আমরা একটি নতুন পোশাক উদ্ভাবন করেছি, যাতে সবাই প্রতিযোগিতা এবং প্রশিক্ষণের সময় নিরাপদ বোধ করতে পারেন’।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি যে প্রতিযোগিতার সময় নিরাপদ বোধ করা এবং অন্যরা আমার শরীরের কী দেখে ফেলল তা নিয়ে দুশ্চিন্তামুক্ত থাকাটা বেশ স্বস্তিদায়ক এবং প্রতিযোগীতায় ভালো করার জন্য জরুরি’।