স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ১৩ জুন।। দেশের উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কোভিড ১৯ পরিস্থিতি পর্যালোচনার সময় কোভিড আচরণবিধি লঙ্ঘনে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। পাশাপাশি সম্ভাব্য তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সবাই মিলে একসঙ্গে লড়াইয়ের প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেন। ভ্যাকসিন প্রদান কর্মসূচিও জোরদার করার কথা বলেন মোদী। বলেন, কোভিড ১৯ এর তৃতীয় ঢেউয়ের বিপদ মোকাবিলায় আমাদের ভ্যাকসিন প্রক্রিয়ায় গতি আনার কাজ চালিয়ে যেতে হবে।
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ কিছুটা স্তিমিত হতেই উত্তর ভারতের পাহাড়ি রাজ্যগুলিতে দলে দলে লোক ছুটছে। ভিড় করছে পাহাড়ি ট্যুরিস্ট স্পটগুলিতে। উত্তরাখন্ড, হিমাচল প্রদেশের পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে তিল ধারনের জায়গা নেই। কাতারে কাতার লোক। অধিকাংশের মুখেই মাস্ক নেই। সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলারও বালাই নেই।
বন্ধুবান্ধবরা দল বেঁধে বা সপরিবারে মানালি, হরিদ্বারে চলে যাচ্ছে লোকজন। দীর্ঘদিন ঘরবন্দি থাকার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে লোকজন বেরিয়ে পড়ছে। সম্ভাব্য করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউয়ের সাবধানবাণীর মুখে এই ছবি দেখে বিচলিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, যেভাবে লোকজন পাহাড়ি এলাকাগুলিতে, বাজার মাস্ক না পরেই ভিড় করছে, সেটা খুবই উদ্বেগ, ভয়ের ব্যাপার।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, পর্যটন, ব্য়বসা করোনাভাইরাস মহামারীর জেরে বিরাট মার খেয়েছে, এটা সত্যি। কিন্তু আজ আমি জোর দিয়ে বলতে পারি, পাহাড়ি পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে, বাজারে বাজারে লোকে যে মাস্ক না পরেই ভিড় করছে, সামাজিক দূরত্ববিধির তোয়াক্কাই করছে না, সেটা ঠিক নয়।
মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোনের ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীদের বলেন, মাইক্রো লেভেলে ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে আরও কঠোর ব্যবস্থা চাই। মুখ্যমন্ত্রীদের সতর্ক থাকতে, দ্রুত পদক্ষেপ করতেও বলেন। যেসব জায়গায় কোভিড ১৯ ভাইরাস ছড়ানোর ঝুঁকি অনেক বেশি, সেখানে ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়ায় আরও জোর দেওয়া দরকার।
প্রসঙ্গত, উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলিতে ইদানীং কোভিড ১৯ সংক্রমণ মাথাচাড়া দিয়েছে, যদিও দেশব্যাপী তা কমার দিকে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের পরিসংখ্যান, বর্তমানে কোভিড ১৯ সংক্রমণের ৮০ শতাংশই হচ্ছে ৯০টি জেলায়। সেগুলির ১৪টি উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলির।