স্টাফ রিপোর্টার, বিশালগড়, ৮ জুলাই।। এক পুলিশ কর্মী দ্বারা মহিলা নির্যাতনের প্রতিবাদে রুখে দাঁড়াল পুরো গ্রাম। ঘটনা বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশালগড় থানাধীন মধ্যে লক্ষীবিল এলাকায়।
ঘটনার বিবরণে জানা যায় বিশালগড় থানাধীন সরকারটিলা এলাকার বাসিন্দা জয়ন্ত দেবনাথের (পুলিশ কর্মী) একটি রাবার বাগান রয়েছে মধ্য লক্ষীবিল এলাকায়। এই রাবার বাগানেই গতকাল অতিরিক্ত ভারে একটি রাবার গাছের ডাল ভেঙ্গে নিচে পড়ে যায়।
বিষয়টি দেখে প্রতিবেশী বাড়ির বিষ্ণুদাসের স্ত্রী বনশ্রী দাস ও তার কণ্যা মিলে গাছের ডালা টিকে লাকরির জন্য বাড়িতে নিয়ে আসে। এমতাবস্থায় বিকেলেই জয়ন্ত বাগান পরিদর্শনে এসে ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করে রেগে অগ্নিশর্মা হয়ে প্রতিবেশীর বাড়িতে ঢুকে গৃহবধূ বনশ্রী দাস ও তার কন্যার উপর মারধর শুরু করে।
ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসে গৃহবধূর স্বামী বিষ্ণু দাস। কিন্তু উনিও জয়ন্তর মারের হাত থেকে রেহাই পাননি।তিনজনকে মেরে পুরোপুরি রক্তাক্ত করে ফেলে, তাদের চিৎকারে এগিয়ে এসে তাদের তিনজনকেই চিকিৎসার জন্য বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়।
পরে তারা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অভিযুক্তের নাম ধাম সহ বিশালগড় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল একটা মারামারির ঘটনার অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও বিশালগড় থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনের নূন্যতম প্রয়োজনবোধটুকু মনে করেনি।
জানা গেছে ত্রিপুরা পুলিশে কর্মরত জওয়ান জয়ন্ত দেবনাথ রাত দশটা নাগাদ উল্টো বিষ্ণু দাস এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধেই পাল্টা মামলা করেন বিশালগড় থানায়।অভিযোগ পুলিশ উভয়পক্ষের মামলা নথিভুক্ত করে বিষ্ণু এবং তার নির্যাতিত স্ত্রীকে ঘটনাটি মীমাংসা করার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে।
শুক্রবার সকালে সাংবাদিকদের কাছে পেয়ে পুরো গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে বিশালগড় থানা, অভিযুক্ত পুলিশ কর্মী এবং গ্রাম প্রধানের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন।তাদের অভিযোগ জয়ন্তের বাড়বাড়ন্তে পুরো গ্রামবাসী অতিষ্ঠ সামান্য ছোটখাটো বিষয়গুলি নিয়ে প্রতিবেশীদের সাথে একের পর এক অভব্য আচরণ করেই চলছে।
তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ জানানো হয়েছে স্থানীয় গ্রাম প্রধান সহ মাতব্বরদের কাছে কিন্তু গ্রামপ্রধানের ভূমিকাও যথেষ্ট প্রশ্নচিহ্নের মুখে।নিরীহ গ্রামবাসীদের অর্থ বল না থাকায় পুলিশসহ গ্রামপ্রধান কেউই তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসছে না বলে অভিযোগ।তাই তারা আজ একত্রিত হয়ে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।