স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ১১ জুন।। মানুষ বাঁচলে ২৩ -এর নির্বাচন। রেগায় কাজ ৯০-৯২ দিন হয়েছে বলা হচ্ছে। কিন্তু শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা যায় তাদের কাজ নেই। আইন বহির্ভূত যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে জায়গা কাজ করা হচ্ছে। মানুষের কাজ নেই, খাদ্য নেই। চারিদিকে হাহাকার। রাজভবন অভিযানে বক্তব্য রেখে এই কথা বলেন বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার।
তিনি বলেন, গত চার বছরে অনাহারে মৃত্যু হচ্ছে, সন্তান বিক্রি এগুলো হচ্ছে। এগুলি বামফ্রন্ট তৈরি করা কথা নয়। মানুষ বাস্তবতার সম্মুখীন। জিএমপি এবং টিওয়াইএফ যৌথভাবে শনিবার ১১ দফা চার্টার অফ ডিমান্ডে রাজভবন অভিযান করল। র্যালিটি সিটি সেন্টার পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে প্যারাডাইস চৌমুহনী হয়ে বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে রাজভবনে যায়।
রাজভবন অভিযানে উপস্তিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার, গণমুক্তি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাধাচরণ দেববর্মা, সিপিআইএম রাজ্য কমিটির সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী, প্রাক্তন সাংসদ শংকর প্রসাদ দত্ত, নারীনেত্রী রমা দাস সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। গণমুক্তি পরিষদ এবং টি ওয়াই এফ এর এই রাজভবন অভিযান ১১ দফা দাবীতে। সংবাদমাধ্যম এর মুখোমুখি হয়ে সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেন এডিসির সার্বিক উন্নয়ন প্রয়োজন।
এডিসি মানেই হল ত্রিপুরা রাজ্যের দুই-তৃতীয়াংশ জায়গা নিয়ে যে ভূখণ্ড। যারা পিছিয়েপরা জনগন আছে তাদের উন্নয়ন যদি না হয় তাহলে এই ত্রিপুরা রাজ্যটাই পছিয়ে থাকবে। বামপন্থী গণমুক্তি পরিষদ, টি ওয়াই এফ বহু আগে থেকেই দাবি তুলেছেন এডিসির হাতে অধিক ক্ষমতা দিতে হবে।
কিন্তু সেখানে কিছু রাজনৈতিক দল, কখনো স্বাধীন ত্রিপুরা, কখনো বেদেশী বিতাড়ন, আবার কখনো ত্রিপুরা ল্যান্ড কিংবা গ্রেটার ত্রিপুরা ল্যান্ড এই দাবীর উত্থাপন করার পেছনে একটা যুক্তি থাকতে লাগে বাস্তবতা থাকতে হয়। এদিনের এই রাজভবন অবিযানে সিপিআইএমের কর্মিসমর্থকদের উপস্থিতি ছিল লক্ষনীয়।