স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ১৬ ডিসেম্বর।। ভারত- বাংলাদেশের সম্পর্ক আত্মার সম্পর্ক, মৈত্রীর সম্পর্ক। এই মৈত্রীর সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করতে হবে। বাংলাদেশের ৫০তম বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা পরিষদের পক্ষ থেকে ত্রিপুরা সরকারি চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়কে ইচিং প্রেস প্রদান অনুষ্ঠানে একথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ। আজ সন্ধ্যায় চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়ের পুলিন দেববর্মা মেমোরিয়াল অডিটোরিয়ামে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ বলেন, ভারত-বাংলাদেশ একে অন্যের পরিপূরক হিসেবে কাজ করছে। শিক্ষা, সংস্কৃতি, কৃষ্টি, সৌভ্রাতৃত্ব, বাণিজ্যিক সব দিক থেকে দু’দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষামন্ত্রী শ্রীনাথ বলেন, ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে বাংলাদেশের বিজয় দিবস আলাদা। বর্তমান প্রজন্মকে এই দিনটির তাৎপর্য জানতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ত্রিপুরার জনগণের চেয়ে সংখ্যায় বেশি বাংলাদেশের মানুষকে ত্রিপুরাবাসী আশ্রয় দিয়েছিলেন।
দু’দেশের মৈত্রীর বন্ধন বহু অতীত থেকেই। এই অটুট বন্ধনের জন্যই বাংলাদেশকে দখলমুক্ত করতে ভারত সরকার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলো। তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে ভারত-বাংলাদেশের অটুট সম্পর্কের ফলে ত্রিপুরা বাণিজ্যিকভাবে দক্ষিণ এশিয়ার গেটওয়ে হতে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সহকারি হাইকমিশনার মহম্মদ জোবায়েদ হোসেন, ত্রিপুরা উচ্চশিক্ষা পরিষদের চেয়ারম্যান অরুণোদয় সাহা, উচ্চশিক্ষা অধিকর্তা এন সি শর্মা, ললিতকলা একাডেমির কার্যকরি সদস্য সুমন মজুমদার, বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী সৌম্য চক্রবর্তী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যাপক রমেন্দ্র কুমার দাস।
সভাপতিত্ব করেন চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ অভিজিৎ ভট্টাচার্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা পরিষদের ডিন প্রফেসর নিশার হোসেন এক ভিডিও বার্তার মাধ্যমে বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের মহান অবদান ছিলো।
৫০তম বিজয় দিবস উদযাপনের দিনে আগরতলা চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়ে নতুন সংযোজন রূপে ইচিং প্রেস দিতে পেরে আমরা গর্বিত। সেই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের মিত্র বাহিনীর অবদানের কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।