Tourism Day: দেশ বিদেশের পর্যটকদের কাছে রাজ্যের পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে আকর্ষণীয় করে তোলা হচ্ছে, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২৭ সেপ্টেম্বর।। দেশ বিদেশের পর্যটকদের কাছে রাজ্যের পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে আকর্ষণীয় করে তোলা হচ্ছে। অতিথি দেব ভব এই ভাবনায় বড়মাত্রায় পর্যটকদের রাজ্যমুখী করে তোলার প্রয়াস চলছে। আজ রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে আয়োজিত বিশ্ব পর্যটন দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে কাজে লাগিয়ে ব্যতিক্রমী ও উদ্ভাবনী পন্থায় পর্যটন ক্ষেত্রের বিকাশে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার।

২০২১ সালের এই দিবসে মূল ভাবনা হলো অন্তর্ভুক্তিমূলক বৃদ্ধির জন্য পর্যটন। এই দিবসের মূল আহান হলো কর্মসংস্থান এবং সকল বিশ্ব সম্প্রদায়কে একত্রিত করার লক্ষ্যে পর্যটন সম্ভাবনাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। এদিনের অনুষ্ঠানে চিত্র প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য অতিথিগণ।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পর্যটন ক্ষেত্রের সঠিক প্রচার এবং প্রসারের মাধ্যমে কৌতূহল তৈরি করতে পারলেই স্বার্থকতা আসবে। রাজ্যে তাজমহল না থাকলেও রয়েছে অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সহ একাধিক গৌরবজ্জ্বল ইতিহাস বিজড়িত পর্যটন কেন্দ্র। মানুষের মনে জিজ্ঞাসা তৈরি করতে পারলেই এই কেন্দ্রগুলির প্রতি পর্যটকদের আকর্ষণ ও ভ্রমণের প্রবণতা বাড়বে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পর্যটন একটি চিন্তন ও ভাবনা। সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে যার বিকাশ সম্ভব। পর্যটকরা যেন জীবনের সমস্ত ব্যস্ততা ও মানসিক চাপমুক্ত হয়ে রাজ্যের পর্যটন কেন্দ্রগুলির দৃষ্টিনন্দন ও মনোগ্রাহী পরিবেশ উপভোগ করতে পারেন সেই লক্ষ্যে পরিষেবা এবং পরিকাঠামো উন্নয়নের উপর মুখ্যমন্ত্রী গুরুত্ব আরোপ করেন।

তিনি বলেন, এক্ষেত্রে আধুনিকতা আনার লক্ষ্যে রাজ্য সরকার একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, বহির্রাজ্যের অতিথিদের আপ্যায়নে আরও বেশি আন্তরিকতার সঙ্গে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। পর্যটকরা রাজ্য সফরের সময় যেন নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করেন সেক্ষেত্রেও বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে পর্যটন মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায় বলেন, ত্রিপুরাকে পর্যটন শিল্পে সমৃদ্ধ রাজ্য হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। রাজ্যের পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে পর্যটকদের চাহিদা অনুসারে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে।

এক্ষেত্রে গুরুত্ব পেয়েছে আধুনিকতা। -তিনি বলেন, অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম, প্যারাগ্লাইডিং, প্যারামাউন্টিং সহ অভিনবত্বের লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকৃতির আশীর্বাদ ধন্য ত্রিপুরার এই সম্পদকে কাজে লাগিয়ে উদ্ভাবনী ভাবনায় কাজ করে চলেছে দপ্তর। নারকেলকুঞ্জে হেলিপ্যাড নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

যাতে করে পর্যটকরা অনায়াসে স্বল্প সময়ে ভৌগোলিক দূরত্ব ঘুচিয়ে পৌঁছে যেতে পারেন প্রকৃতির কোলে গড়ে উঠা এই পর্যটন কেন্দ্রে। এই পর্যটন কেন্দ্রটির বিকাশ ও প্রসারে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারও। ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরকে কেন্দ্র করেও পর্যটন শিল্পের বিকাশে যে বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে তাকে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে কাজ চলছে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পর্যটন দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে বলেন, পর্যটন শিল্পের বিকাশের মাধ্যমে দ্রুত রোজগারের সুযোগ তৈরি হয়। রাজ্যের পর্যটন শিল্পের বিকাশে বেশ কিছু অভিনবত্ব আনা হয়েছে। পর্যটন শিল্পের সাথে যুক্ত মানব সম্পদ উন্নয়নে বিভিন্ন পরিকল্পনা রূপায়ণ করা হচ্ছে। পর্যটন ক্ষেত্রের বিকাশের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে এগোচ্ছে ত্রিপুরা।

বিশ্ব পর্যটন দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত চিত্র প্রদর্শনীতে প্রথম তিন স্থানাধিকারীকে আজকের অনুষ্ঠানে পুরস্কৃত করা হয়। তার পাশাপাশি পর্যটন ক্ষেত্রের উন্নয়নে বিশেষ অবদানের জন্য কয়েকজনকে সম্মানিত করা হয়।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অরুণোদয় সাহা, ত্রিপুরা পর্যটন উন্নয়ন নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর টি কে চাকমা প্রমুখ।

 

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?