অনলাইন ডেস্ক, ৬ আগস্ট।। ধনী ও শক্তিশালী দেশগুলো অর্ধেকের বেশি মানুষকে টিকার দুই ডোজ দিয়ে ফেললেও তৃতীয় ডোজের পরিকল্পনায় ব্যস্ত। অন্যদিকে উন্নয়নশীল দেশগুলোর সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ করোনা টিকার অভাবে নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারছেন না।
এমন প্রেক্ষাপটে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তৃতীয় ডোজে বিলম্বের আহ্বান জানালেও কেউ শুনতে নারাজ। ফ্রান্স, জার্মানি ও ইসরায়েল বয়স্ক ও উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ মানুষের জন্য বুস্টার ডোজের ব্যবস্থা করছে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বর মাস থেকেই এই কর্মসূচি শুরু হবে। তার সরকার করোনা মহামারীর চতুর্থ ঢেউয়ের আগে আরো বেশি মানুষকে টিকা দেবার উদ্যোগ নিচ্ছে।
জার্মানিও একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বার্লিনের শারিটে হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীদের ইতিমধ্যে করোনা টিকার তৃতীয় ডোজ দেওয়ার উদ্যোগ শুরু হয়েছে। যারা ছয় মাস আগে টিকার দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন, তাদের জন্য বুধবার থেকে এই সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। জার্মানির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দেশের ঝুঁকিপূর্ণ মানুষের জন্য তৃতীয় ডোজের সিদ্ধান্তের সপক্ষে বক্তব্য রেখে মনে করিয়ে দিয়েছে যে, জার্মানি দরিদ্র দেশগুলোর জন্যও তিন কোটি করোনা টিকা দান করেছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েন্স স্পান জার্মানির মানুষের উদ্দেশ্যে করোনা টিকা নেওয়ার আবেদন জানান। তিনি এই সিদ্ধান্তকে দেশপ্রেমের পরিচয় হিসেবে বর্ণনা করেছেন।ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট এক বিবৃতির মাধ্যমে বয়স্ক মানুষদের উদ্দেশ্যে করোনা টিকার তৃতীয় বুস্টার ডোজ নেবার আবেদন জানিয়েছেন। তিনি বলছেন, ৬০ বছরের বেশি বয়সের মানুষ তৃতীয় ডোজ না নিলে করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে গুরুতর অসুস্থ হবার আশঙ্কা ছয় গুণ বেড়ে যায়।
মাত্র ৯৩ লাখ জনসংখ্যার কারণে ইসরায়েলে করোনা টিকার বাড়তি চাহিদা গোটা বিশ্বে টিকার সরবরাহের উপর তেমন কোনো প্রভাব ফেলবে না বলেও দাবি করেন তিনি।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও করোনা টিকার তৃতীয় ডোজের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না। সে দেশের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ আরো বৈজ্ঞানিক তথ্য সংগ্রহ করে সিদ্ধান্ত নিতে চায়।