অনলাইন ডেস্ক, ৫ জুলাই।। হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থার সভাপতি পদে আবার মোহাম্মদ আজারউদ্দিনকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। দেশটির সাবেক বিচারপতি দীপক বর্মার নেতৃত্বাধীন কমিটি এই রায় দিয়েছে। পাশাপাশি যে অ্যাপেক্স কাউন্সিল আজহারকে বাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, সেই কমিটিকেই বাতিল করে দিয়েছেন তিনি। বর্মার জারি করা অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশে স্পষ্ট বলা হয়েছে, হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি কে জন মনোজ, আর বিজয়ানন্দ, নরেশ শর্মা, সুরেন্দর আগরওয়াল এবং অনুরাধাকে আপাতত নির্বাসিত করা হচ্ছে।
কিছুদিন আগে এই অ্যাপেক্স কাউন্সিলই আজহারউদ্দিনকে নির্বাসিত করেছিল। আজহারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিসিসিআইয়ের বেশ কিছু নিয়ম তিনি মানেননি। তিনি যে দুবাইয়ের একটি ক্রিকেট ক্লাবের সদস্য, তা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে জানাননি। আজহার যে ক্লাবের সদস্য সেটি আবার এমন একটি লিগে খেলে, যাকে বিসিসিআই স্বীকৃতি দেয় না।
শুধু তাই নয়, হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি থাকাকালীনও বহু বিতর্কে জড়িয়েছেন টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি একার মতে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনাও করছেন না। তাছাড়া এইচসিএ’র ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ‘ফ্রিজ’ করে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে আজহারের বিরুদ্ধে। হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের অন্য সদস্যরা আজহারের বিরুদ্ধে বিসিসিআইয়ে অভিযোগও জানান। তারপরই তার বিরুদ্ধে পালটা পদক্ষেপ নেয় হায়দরাবাদ বোর্ডের অ্যাপেক্স কাউন্সিল।
গত ২৫ মে অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠকেই আজহারকে শোকজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর তাকে প্রেসিডেন্ট পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু বর্মার নির্দেশে পুনরায় ওই পদে ফিরলেন আজহার। বিবৃতিতে অ্যাপেক্স কাউন্সিলের সদস্যদের সমালোচনা করেছেন বর্মা, ‘নিজে থেকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা অ্যাপেক্স কাউন্সিলের নেই। তাই আজহারউদ্দিনকে নির্বাসিত করার যে সিদ্ধান্ত এই পাঁচ সদস্য নিয়েছেন, তা বাতিল করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ওই পাঁচ জনকে শোকজ করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ জানানোর কথাও বলা হয়েছে। ’