অনলাইন ডেস্ক, ১৯ জুন।। ভারতে প্রথম শনাক্ত করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট বা ধরন প্রতিবেশী দ্বীপ রাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায়ও ধরা পড়েছে। এ নিয়ে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছে দেশটির নানান পক্ষ।
শ্রীলঙ্কার জয়ওয়ার্দেনেপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালার্জি, ইমিউনিটি অ্যান্ড সেল বায়োলজি ইউনিটের পরিচালক ড. চন্দ্রিমা জিওয়ান্দারা দ্য হিন্দুকে বলেন, “আমাদের কল্পনার বাইরে যে এই সময়টাতে এ রকম গুরুতর পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। ”আরও বলেন, “আমরা এরই মধ্যে (যুক্তরাজ্যের) আলফার প্রকট উপস্থিতি নিয়ে হিমশিম খাচ্ছি।
ডেল্টা আমাদের জন্য বড় রকমের হুমকি। কারণ আমাদের টিকা প্রদান নিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। আর যাদের টিকা দেওয়া হয়েছে তাদের বেশির ভাগ পেয়েছে মাত্র এক ডোজ। ”
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনাভাইরাস রিসোর্স সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী ২ কোটি ২০ লাখ মানুষের দেশ শ্রীলঙ্কায় কভিড শনাক্ত হয়েছে ২ লাখ ৩৩ হাজারের্ বেশি মানুষের শরীরে।
এ দিকে ডেল্টা ধরনের বড় ঝুঁকিতে আছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা সংস্থা আইসিডিডিআরবি জানায়, ঢাকায় শনাক্ত করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর ৬৮ শতাংশ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট।
আইসিডিডিআরবির মিডিয়া ম্যানেজার একেএম তারিফুল ইসলাম খান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, মে মাসের শেষ সপ্তাহ ও জুনের প্রথম সপ্তাহ জুড়ে গবেষণা চালানো হয়। এ সময়ে ঢাকার বাসিন্দা করোনাভাইরাস আক্রান্ত ৬০ জন ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহের পর জিনোম সিকোয়েন্সিং করে সংস্থাটি এই তথ্য পেয়েছে।
ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট হিসেবে চিহ্নিত করে। এটি প্রথম ভারতে শনাক্ত করা হয়েছিল এবং এরপর থেকে যুক্তরাজ্যে এখন ৯০ শতাংশ সংক্রমণের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই ধরন।
এ দিকে বাংলাদেশের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট আইইডিসিআর এ মাসের শুরুতে জানায় যে দেশে ভারতীয় ধরনের উপস্থিতি চিহ্নিত করা গেছে। তারা ৪ জুন জানায়, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরন অনেকটাই ছড়িয়ে পড়েছে।
সংস্থাটি সে সময় জানিয়েছিল, ১৬ মে’র পর থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে করোনাভাইরাসের ৫০টি নমুনা সংগ্রহ করে জিনোম সিকোয়েন্সিং করার পর ফলাফল হিসেবে দেখা গেছে নমুনার ৮০ শতাংশের মধ্যেই ভারতীয় ধরন উপস্থিত ছিল। এ ছাড়া ভারতের অন্যান্য প্রতিবেশী দেশে করোনার এ ধরনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।