স্টাফ রিপোর্টার, বিশালগড়, ৮ জুন।। লোনের কিস্তির টাকার জন্য ঋণগ্রহীতাদের চাপ সৃষ্টি করতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত তাড়া খেয়ে পালিয়ে বাঁচে সাটিং মাইক্রোফাইন্যান্সের কর্মী। ঘটনা বিশালগড়ের নবীনগর এলাকায়। রাজ্যে ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে ওঠা বিভিন্ন মাইক্রোফাইন্যান্স কোম্পানিগুলির যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ সাধারণ জনগণ।
তারা প্রথমে আপ্যায়ন করে লোকেদেরকে পাড়ায় একত্রিত করে ।প্রথমত লোন প্রদান করা, তারপর থেকেই শুরু হয় সাধারণ জনগণের ওপর কিস্তির টাকার জন্য চাপ। আর এই কিস্তির টাকার জন্য প্রাণ দিতে হয় অনেক সাধারন লোকেদের।
এই সমস্ত মাইক্রো ফাইন্যান্স কোম্পানি গুলি ত্রিপুরা রাজ্যের আনাচে-কানাচে গ্রাম থেকে শহরে বিভিন্ন এলাকায় বিস্তার লাভ করে চলছে। এই মাইক্রো ফাইন্যান্স কোম্পানি গুলিতে টাকার প্রলোভনে পা দিচ্ছেন সাধারণ জনগণ। তারা প্রথমত কোম্পানির লোন প্রদান করার প্রক্রিয়া সম্বন্ধে সাধারণ জনগণকে এক রকম বোঝাচ্ছেন এবং লোন প্রদান করার পরে তাদের কিস্তি আদায়ের পদ্ধতি অন্যরকম হয়ে যায়।
আর সেখানেই মার খাচ্ছেন সাধারণ জনগণ ।বর্তমানে সারা ভারতবর্ষে কোভিড পরিস্থিতিতে এক প্রকার হতভম্ব হয়ে রয়েছে সাধারণ জনগণ । এই সমস্ত মাইক্রোফাইন্যান্স কোম্পানিগুলির কিস্তির টাকার চাপ সহ্য করতে না পেরে অনেক সাধারন জনগন মৃত্যুকে বিকল্প পথ হিসেবে বেছে নিয়েছেন।
সেদিকে লক্ষ্য রেখে বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে রাজ্যের সমস্ত মাইক্রো ফাইন্যান্স কোম্পানি এবং বিভিন্ন ব্যাংকের কিস্তির টাকা আপাতত আদায় না করার জন্য নির্দেশ জারি করা হয়েছে। উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মন সমস্ত ব্যাংক ফাইন্যান্স কোম্পানির কর্ণধারদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিটিং করেছিলেন।
সেখানে সমস্ত মাইক্রো ফাইন্যান্স কোম্পানি গুলিকে জানিয়ে দেওয়া হয় যেন কিস্তির টাকার জন্য কাউকে চাপ সৃষ্টি না করা হয়। কিন্তু সেই নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে আজ বিশালগড় নবীনগর পঞ্চায়েতের দুই নং ওয়ার্ডের অসহায় হতদরিদ্র শ্রমজীবী পরিবারকে সাটিং মাইক্রো ফাইন্যান্স কোম্পানি কিস্তির টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে।
ঋণগ্রহীতা পরিবারগুলি জানিয়ে দেয় যে তারা বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে কোনো রকম কাজ করতে পারছেন না এবং তারা এখন টাকা দিতে পারবে না। তাতেই একপ্রকার ক্ষুব্দ হয়ে সাটিং কোম্পানির কর্মী তাদের গালিগালাজ করতে থাকে। ঋণগ্রহীতা পরিবারগুলি একত্রিত হয়ে সাটিং কোম্পানির কর্মী সহ তার স্কুটি আটক করে রাখেন। খবর দেন সংবাদমাধ্যমকে।
সংবাদমাধ্যম ছুটে যাওয়ার পরও সাটিং কোম্পানির কর্মী তার নাম বলতে ইচ্ছুক নয়। সে জানায় রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী যে কথা জানিয়েছিল সে সমস্ত ব্যাপারে সে কিছু বলতে পারে না। অবশেষে সেখান থেকে কোনরকম পালিয়ে আসে সাটিং কোম্পানি কর্মী।