অনলাইন ডেস্ক, ১৬ মে।। কোভিড-১৯ মহামারিতে বিধ্বস্ত ভারত। প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। মৃত্যু হচ্ছে হাজার হাজার মানুষের। লাশের সারি বড় হতে হতে দেশটি মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় চার হাজার ৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এ সময় আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখ ১১ হাজার ১৭০ মানুষ।
রোববার সকালে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া ও এনডিটিভি। করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যু নিয়ে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় চার সহস্রাধিক মৃত্যু নিয়ে প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ৭০ হাজারে।
আর নতুন তিন লাখ ১১ হাজার আক্রান্ত নিয়ে ভারতে এ পর্যন্ত দুই কোটি ৪৬ লাখের বেশি মানুষের দেহে কোভিড-১৯ ধরা পড়েছে।
গত দুদিনে ভারতে মৃত্যু কিছুটা কম ছিল। শনিবার আগের ২৮ ঘণ্টায় তিন হাজার ৮৮৩ জনের মৃত্যুর খবর জানায় ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এদিন আক্রান্ত হয়েছিলেন তিন লাখ ২৬ হাজার।
আর শুক্রবার চার হাজার মানুষের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণলায়। আক্রান্ত হয়েছিলেন তিন লাখ ৪৩ হাজার। গত দুদিনের তুলনায় শেষ একদিনে করোনায় মৃত্যু বেড়েছে। তবে আক্রান্ত নিম্নমুখী।
এদিকে সংক্রমণ ঠেকাতে ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে লকডাউন ও কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে। তামিলনাড়ুতে দুই সপ্তাহের কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে।
আর কর্ণাটকে দুই সপ্তাহের লকডাউন দেওয়া হয়েছে। মণিপুরে ১৭ মে পর্যন্ত কারফিউ বাড়ানো হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার।
এ বছরের জানুয়ারি মাসে ভারতে সবচেয়ে বড় পরিসরে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। তবে অনেক রাজ্যে টিকা নিয়ে সংকট দেখা দেয়। ফলে টিকাদান কর্মসূচি ধীর গতিতে চলতে শুরু করে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের হিসাব অনুসারে করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যুর হারে যুক্তরাষ্ট্রের পরেই ভারতের অবস্থান।
উল্লেখ্য, ভারতে সর্বপ্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি, কেরালায়। তার পর বছরজুড়ে চলতে থাকে এই রোগে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা।
গত বছর নভেম্বরের দিকে অবশ্য কমতে শুরু করেছিল ভারতে করোনায় দৈনিক আক্রান্ত ও মৃত্যুহার। ফেব্রুয়ারি মাসে এই হার ছিল সর্বনিম্ন। সে সময় গড়ে প্রতিদিন করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১২ হাজারেরও কম। কিন্তু মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিধ্বস্ত হয় ভারত।