অনলাইন ডেস্ক, ৯ মে।। অ্যামাজনের কর্ণধার জেফ বেজোস যে তার স্ত্রীকে ডিভোর্স দিতে যাচ্ছেন, সেটি আগেভাগে টের পেয়েছিলেন তার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা। যে হেলিকপ্টারে তিনি চড়তে চাইতেন না, সেই আকাশযানের ওপর হঠাৎ তার একটা আসক্তি তৈরি হওয়ায় পরকীয়ার বিষয়টি সামনে আসে। ২০১৮ সালের গ্রীষ্মে বেজোস লরা সানচেজের সঙ্গে ডেটিং শুরু করেন।
সানচেজ ব্ল্যাক অপস অ্যাভিয়েশনের মালিক এবং পাইলট। ব্র্যাড স্টোনের নতুন একটি বই থেকে জানা গেছে, বেজোস তার গোপন ব্লু অরিজিন স্পেস এন্টারপ্রাইজের জন্য ব্ল্যাক অপস ভাড়া করে মূলত বিপাকে পড়েন। কোম্পানির কর্মকর্তারা দেখতে পান, এই হেলিকপ্টারের জন্য অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ খরচ হচ্ছে। নিউ ইয়র্ক পোস্ট লিখেছে, জেফ বেজোস সাধারণত হেলিকপ্টারে চড়তে চাইতেন না। কিন্তু সানচেজের সঙ্গে প্রেমে পড়ে কপ্টার ব্যবহার বাড়িয়ে দেন।
২০১৮ সালের জুলাইয়ে টেক্সাসে বিশাল এক অঞ্চলে অবস্থিত ব্লু অরিজিনে ‘নিউ শেপার্ড’ রকেটে করে নবম মাসে টেস্ট ফাইটে ছিলেন জেফ বেজোস। এ সময় লস অ্যাঞ্জেলেসের ফক্স নিউজের সাবেক উপস্থাপিকা লরাঁ সানচেজ তার সঙ্গে ছিলেন। ওই সময়ে সানচেজও জেফ বেজোসের মতো ছিলেন বিবাহিতা। তার স্বামী ছিলেন এন্ডেভার ট্যালেন্ট এজেন্সির চেয়ার প্যাট্রিক হোয়াইটসেল। ২০১৬ সালে তিনি নিজের স্ত্রী লরাঁকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন জেফ বেজোসের সঙ্গে
এ ঘটনার বেশ কয়েক মাস পরে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম লরাঁ ও বেজোসের মধ্যে গোপন প্রেমের কাহিনি প্রথম প্রকাশ করে। এ সময় জেফ বেজোস তার স্ত্রী ম্যাকেঞ্জির সঙ্গে ছিলেন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ। তাদের ২৫ বছরের ঘরসংসার। ম্যাকেঞ্জি চার সন্তানের মা তখন। যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ট্যাবলয়েড ন্যাশনাল এনকোয়ারার ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে জানায়, বন্ধুর স্ত্রীর সঙ্গে প্রেমের কারণে বেজোস তার স্ত্রী মেকানজিকে ডিভোর্স দিচ্ছেন। শেষ পর্যন্ত এই খবর সত্য হয়।