গনবন্টন ব্যবস্থা ও খাদ্য সামগ্রীর যোগান স্বাভাবিক রাখতে দপ্তর তৎপর

স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২৯ এপ্রিল।। গনবন্টন ব্যবস্থা ও খাদ্য সামগ্রীর যোগান স্বাভাবিক রাখতে খাদ্য দপ্তর কাজ করছে। রাজ্যে খাদ্য সামগ্রী পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুত রয়েছে। তাতে অযথা চিন্তিত হওয়ার কারন নেই। বাজার গুলিতে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মূল্য বৃদ্ধি ঘটাচ্ছে। সেই বিষয়ে নজর রাখতে কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে।

রাজ্য সরকারের গোডাউন ও এফ সি আই- গোডাউনে খাদ্য সামগ্রী পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে। তবে মশুরির ডাল ও ভোজ্য তেলের মূল্য বৃদ্ধি কেবল ত্রিপুরা নয় সারা দেশে ঘটেছে। ইতিমধ্যেই ব্যবসায়ি সংগঠন গুলিকে নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে। তাতে স্পষ্ট ভাবে বলে দেওয়া হয়েছে বাজার গুলিতে যাতে জিনিস পত্রের মূল্য বৃদ্ধি না ঘটে তাঁর জন্য দায়িত্ব নিতে হবে।

গতবার লক ডাউনের সময় যে ভাবে সমস্ত ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখা হয়েছিল। সেই মত এই বারও করোনা কালে বাজার গুলিতে খাদ্য সামগ্রীর যোগান স্বাভাবিক রয়েছে। তবে দেশের অন্যান্য রাজ্যে লক ডাউন দিলেও রাজ্য এখুনি সেই পথে হাটছে না। কিন্তু বারতে পারে আগরতলা পুর নিগম এলাকায় নৈশ কারফিউ-র সময় সীমা। বুধবার এক সাক্ষাৎ কারে এমনটাই জানান মন্ত্রী মনোজ কান্তি দেব। তিনি আরো জানান কোন সামগ্রী কত পরিমাণে মজুত রয়েছে।

এই ক্ষেত্রে চিনি মজুত রয়েছে দুই দিনের বলে জানান মন্ত্রী মনোজ কান্তি দেব। রেশনের মাধ্যমে ডাল ও চিনি দেওয়ার বিষয়ে তিনি জানান মজুত থাকা ৬০০ মেট্রিকটন ডাল এই মাসে রেশনের মাধ্যমে বন্টন করা হয়েছে। এই ক্ষেত্রে টেন্ডার ডাকা হয়েছিল। দিল্লির একটি সংস্থা ডাল দেওয়ার বরাত পায় ৭৪ টাকা ২৫ পয়সা দরে। সেই মোতাবেক তাদের ডাল সরবরাহ করার জন্য বলা হয়।

এখনো পর্যন্ত তাঁরা ডাল সরবরাহ না করায় এই সংস্থার বিরুদ্ধে পেনাল্টি করছে খাদ্য দপ্তর। তাদের ডিপোজিট করা ১ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হবে। তবে এই ক্ষেত্রে নতুন করে আবার টেন্ডার ডাকতে হবে। করোনা পরিস্থিতির জন্য ডাল প্রদান করা যাচ্ছে না। তাই বন্ধ রাখা হয়েছে। চিনির ক্ষেত্রেও টেন্ডার পাওয়ার পর চিনি সরবরাহ না করায় এই সমস্যা হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী মনোজ কান্তি দেব।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?