তাছাড়াও সভায় খাদ্য ও জনসংভরণ দপ্তরের সচিব শরদিন্দু চৌধুরী, খাদ্য দপ্তরের অধিকর্তা তপন দাস, সদর মহকুমার মহকুমা শাসক অসীম সাহা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সভায় খাদ্য মন্ত্রী শ্রীদেব বলেন, রাজ্যে বর্তমানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসমূহের মূল্য স্বাভাবিক রাখার জন্য ব্যবসায়ীদেরও দায়িত্ব রয়েছে। এক্ষেত্রে তিনি বাজারে পণ্য সামগ্রীর দাম স্বাভাবিক রাখতে ব্যবসায়ী সহ সকল অংশের মানুষের সহযোগিতা চেয়েছেন।
তিনি বলেন, মানুষ যাতে কোন ভাবে বিভ্রান্ত বা হয়রানির শিকার না হন তার জন্য সচেষ্ট থাকা প্রয়োজন। সভায় খাদ্যমন্ত্রী ভোজ্য তেলের দাম কিভাবে নিয়ন্ত্রনে রাখা যায় সেই বিষয়ে বাজার কমিটিগুলিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। সভায় খাদ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের বাজারগুলিতে দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক রাখতে খাদ্য ও জন সংভরণ দপ্তর, মহকুমা প্রশাসন এবং লিগ্যাল মেট্রোলজি দপ্তর বিগত দিনের মতো বাজারগুলিতে পরিদর্শন করবে।
সভায় খাদ্যমন্ত্রী প্রয়োজনে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ যেন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের জন্য কোন অসুবিধার সম্মুখীন না হন সেজন্য রাজ্য সরকার সচেষ্ট রয়েছে। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে ওয়ান নেশন ওয়ান রেশন কার্ড সম্পূর্ণ বাস্তবায়িত হয়েছে।
সেই ক্ষেত্রে পরিযায়ী শ্রমিকরা যারা এন এফ এস-র আওতাভূক্ত রয়েছেন তারা রেশন সামগ্রী তোলার ক্ষেত্রে কোন অসুবিধার সম্মুখীন হবেন না। রাজ্যের শ্রমিকরা যারা বর্হিরাজ্যে কাজ করছেন তাদের ক্ষেত্রেও কোন অসুবিধা হবেনা বলে খাদ্যমন্ত্রী অভিমত ব্যক্ত করেন। সভায় বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিগণও আলোচনায় অংশ নেন।
