স্টাফ রিপোর্টার, ধর্মনগর, ১২ এপ্রিল।। উত্তর ত্রিপুরা জেলার ধর্মনগর মহাকুমার পানিসাগরের পদ্মবিলে বারুণী মেলার নামে প্রকাশ্যে জুয়ার আসর ঘিরে জনমনে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। শুরু হল উত্তর জেলার পানিসাগর মহকুমার পদ্মবিলের ঐতিহ্যবাহী অম্বিকা কুন্ডে’র বারুনী মেলা। প্রতিবছর পানিসাগরের পদ্মবিল দু- গঙ্গা এলাকায় হয়ে থাকে এই মেলা।
বিগত প্রায় ৬৪ বছর যাবত চলছে এই ঐতিহ্যবাহী মেলা।মেলার উদ্বোধন করেন রাজ্য বিধানসভার সদস্য তথা পানিসাগরের বিধায়ক বিনয় ভূষণ দাস। ছিলেন উত্তর ত্রিপুরা জেলা পরিষদের সভাধিপতি ভবতোষ দাস। এই মেলার উদ্যোক্তা পানিসাগর আর ডি ব্লক এবং পানিসাগর পঞ্চায়েত সমিতি।
প্রতিবছর এই মেলাকে কেন্দ্র করে দূর-দূরান্ত থেকে আসা দোকানিরা তাদের পসরা নিয়ে মেলায় বসেন। মেলায় আশপাশের গ্রাম শহর থেকে হাজারো মানুষ ভিড় জমান। এবার তিন দিনব্যাপী চলবে মেলা। কিন্তু আশ্চর্যজনক বিষয় হলমেলাকে কেন্দ্র করে দিন-দুপুরেই জমে উঠেছে জুয়ার আসর। বসানো হয়েছে আনন্দমেলা । আনন্দমেলাকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যেই জমে উঠেছে জুয়াখেলা।
লক্ষ্য করা গেছে একদিকে যখন মেলার উদ্বোধন চলছিল ঠিক তখনই মেলা প্রাঙ্গণে দূর দূরান্ত থেকে আসা যুবকরা এমনকি কচিকাঁচারা অংশ নিচ্ছিল জুয়ার আসরে। এই ঘটনায় বিভিন্ন মহলে উঁকি দিচ্ছে বিভিন্ন প্রশ্ন। কেননা বর্তমানে গোটা দেশেই বাড়ছে করোণা আক্রান্তের সংখ্যা। তাই রাজ্যের সরকার করোনা নিয়ন্ত্রণে বেশকিছু সর্তকতা জারি করেছে।
আর এই সতর্কতাকেই বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে সরকারী একাধিক দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে চলছে মেলার আয়োজন। আর এই মেলাতে জাকজমক ভাবে বসেছে আনন্দ মেলা। এখন প্রশ্ন উঠেছে কোভিড পরিস্থিতিতে মহকুমা প্রশাসন আনন্দ মেলার অনুমতি দিল কি করে।
পাশাপাশি দিনের বেলাতে মেলা উদ্যোক্তাদের সম্মুখে প্রকাশ্যে চলছে জুয়াা। অথচ প্রশাসন ও উদ্যোক্তারা নিরব। প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই যদি মেলা প্রাঙ্গণে আনন্দ মেলার আসর বসে তবে এবার প্রশাসন কি ভূমিকা গ্রহন করে এখন সেটাই দেখার বিষয়।