এতে করোনা প্রতিরোধে ব্যর্থতায় সমালোচিত কট্টর ডানপন্থী এই প্রেসিডেন্টের ওপর চাপ বাড়বে বলে বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফার্নান্দো আজাভাদোকে সরিয়ে দেওয়ার বলসোনারোর আকস্মিক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ তিনি বাহিনীর প্রধানরা পদত্যাগ করেছেন বলে ব্রাজিলের একাধিক সংবাদমাধ্যম জানায়। আগের দিন পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা এবং আইনমন্ত্রীর পাশাপাশি তার প্রধান স্টাফ, অ্যাটর্নি জেনারেল ও সরকারি সেক্রেটারিকে সরিয়ে দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বড় ধরনের রদবদল আনেন বলসোনারো।
এছাড়া মহামারী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ক্রমেই বেড়ে চলায় গত সপ্তাহে চতুর্থ স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিয়োগ দেন তিনি। গত ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক সংকটের মুখোমুখি হলেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট। করোনাভাইরাস মহামারীতে তার সরকারের অব্যবস্থাপনা নিয়ে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছেন বলসোনারো। অর্থনৈতিক হুমকির কথা বিবেচনা করে মহামারি মোকাবিলায় তিনি তেমন কোনো ব্যবস্থা নেননি।
ভ্যাকসিন নিয়ে অবৈজ্ঞানিক মন্তব্য করেও সমালোচিত হয়েছেন তিনি। অবৈজ্ঞানিক চিকিৎসা ব্যবস্থাকে সমর্থন করেও কথা বলেছিলেন। এছাড়া করোনায় মৃত্যু নিয়ে ‘ঘ্যানঘ্যান’ না করতেও বলেন বলসোনারো। করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যুর বৈশ্বিক তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মারাত্মক রূপ ধারণ করেছে। সম্প্রতি ব্রাজিলেই সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হচ্ছিল। করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় লাতিন আমেরিকার দেশটিতে ৩ হাজার ৬৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ ১৮ হাজারে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে সাড়ে ৮৬ হাজারের বেশি শনাক্তে মোট সংক্রমণ ১ কোটি ২৬ লাখ ৬৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।