সপ্তাহ খানেক আগে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি সংগঠিত হয়। ওই সময় ১৯৮৮ সালের একটি ধর্ষণের ঘটনায় অ্যাটর্নি জেনারেল ক্রিশ্চিয়ান পোর্টারের নাম ওঠে আসে, যদিও তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন। আরেকটি ঘটনাও তখন প্রকাশ্যে আসে। সাবেক-রাজনৈতিক পরামর্শক ব্রিটনি হিগিনস ফেব্রুয়ারিতে অভিযোগ করেন, ২০১৯ সালে সহকর্মীর হাতে এক মন্ত্রীর অফিসে তিনি ধর্ষণের শিকার হন। যা নাগরিকদের বিক্ষুব্ধ করে।
আন্দোলনকারীদের মতে, যৌন নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে সরকারের পদক্ষেপ যথেষ্ট নয়। সোমবার সংসদ ভবনের বাইরে বিক্ষোভে যোগ দেন হিগিনস। তার মতে, অস্ট্রেলিয়ার নারীরা দেখছেন যৌন সহিংসতার ঘটনাগুলো কীভাবে সামাজিকভাবে মেনে নেওয়া হচ্ছে। নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে জানান, সংসদে যদি এ ঘটনা ঘটে, তাহলে এমন কিছু যে কোনো জায়গায় ঘটতে পারে। ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ নামে সংগঠিত এ বিক্ষোভে সারাদেশের ৪০টি নগর যোগ দিয়েছে। এর মধ্যে আছে ক্যানবেরা, সিডনি ও মেলবোর্নের মতো বড় শহরগুলো।
সংগঠকদের অনুমান, এযাবৎকালের অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় নারী বিদ্রোহ এটি। ক্যানবেরায় ৯০ হাজার স্বাক্ষর সংবলিত একটি পিটিশনও প্রদর্শন করা হয়। যেখানে তারা সংসদের কাছে জবাবদিহি চান। এর আগে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দেখার করার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেন প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। এর বদলে রবিবার সংসদ ভবনে প্রতিনিধি দলকে আমন্ত্রণ জানালেও আন্দোলনকারীরা নাকচ করেন। তাদের দাবি, প্রধানমন্ত্রী ও নারী বিষয়ক মন্ত্রীকে র্যালিতে এসে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে হবে।