অ্যাভিয়েশন সেক্টরের বিশেষজ্ঞদের মতে, বিমানের জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় বিমানের টিকিটের এই দামবৃদ্ধি। অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রকের পক্ষ থেকে অবশ্য জানানো হয়েছে, এই দামবৃদ্ধি আসলে রুটিন পরিবর্তন। বিভিন্ন পর্যায়ে ৫৬০০ টাকা পর্যন্ত দাম বাড়ছে বিমানযাত্রার।
বিমান ভাড়ার ঊর্ধ্বসীমা এবং নিম্নসীমা বেঁধে দেওয়ার সময় বাড়ল ৩১ মার্চ পর্যন্ত। মিনিস্ট্রি অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন জানিয়েছে, ১৮০ থেকে ২১০ মিনিটের বিমানযাত্রার পথে সর্বোচ্চ দর ১৮,৬০০ টাকা থেকে ৩০ শতাংশ বাড়িয়ে ২৪,২০০ টাকা করা হচ্ছে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে ৫৬০০ টাকা বাড়ছে। আর একেবারে কম সময়ের যাত্রাপথের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন যে বিমানযাত্রার দর তা বাড়ানো হচ্ছে ১০ শতাংশ। যার পরিমাণ ২০০ টাকা।
এদিকে বিমানভাড়া বৃদ্ধির পরিমাণ খুব বেশি না হলেও মধ্যবিত্তের উপর আরও কিছুটা চাপবৃদ্ধি বলেই বিষয়টিকে দেখছেন অনেকে। এমনিতেই দেশে রান্নার গ্যাস থেকে পেট্রোল-ডিজেল সবকিছুরই দাম ঊর্ধ্বমুখী। তার উপর এই দামবৃদ্ধি আরও একটু ভোগান্তি বাড়াবে বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ, করোনাকালে যাত্রার পরিমাণ কমে গেলেও মধ্যবিত্তের যাতায়াতের মানচিত্রে এখন ভালোভাবেই জুড়ে গিয়েছে আকাশপথও।
কোভিড অতিমারীর ধাক্কায় যেভাবে বিমান শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা সামাল দিতেই এই বৃদ্ধি বলে ব্যাখ্যা দিয়েছে কেন্দ্র। একইসঙ্গে, নতুন বিজ্ঞপ্তিতে এ-ও বলা হয়েছে, কোভিড-পূর্ব পরিস্থিতিতে যে সংখ্যক যাত্রী বহণ করা হত, তার ৭০ শতাংশ নিতে পারবে। তবে ‘মার্কেট লিডার’ ইন্ডিগোর ক্ষেত্রে এই সীমা বাড়িয়ে ৮০ শতাংশ করা হয়েছে।
সম্প্রতি, কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী জানিয়েছিলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে বিমান কোভিড-পূর্ব যাত্রী সংখ্যা ফেরত পাবে এবং মার্চের শেষের আগেই বিমান পরিষেবা স্বাভাবিক হয়ে উঠবে। যদিও বিশেষজ্ঞদের একাংশের উদ্বেগ, এখনও পর্যন্ত শিল্পপতিদের যাতায়াত বৃদ্ধি না পাওয়ায় বেশি দামের টিকিটের চাহিদা বাড়েনি।
ফলে, বিমান সংস্থাগুলি এখনও সেভাবে লাভের মুখ দেখে উঠতে পারেনি। এবার অবশ্য বিমানভাড়া বাড়ানোর যুক্তি হিসেবে বিমানের জ্বালানির দামবৃদ্ধি সহ একাধিক কারণের কথা জানানো হয়েছে মন্ত্রকের পক্ষ থেকে। বেশ কয়েকবার দামবৃদ্ধি বিষয়টি স্থগিত রাখার পর শেষমেশ এই সিদ্ধান্ত বলেই দাবি তাদের তরফে।