এদিন আইটিডিসির পক্ষ থেকে সংসদের বিভিন্ন খাবারের নতুন দাম জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সংসদের ক্যান্টিনে যে খাবার মিলত তা যে শুধু সাংসদরাই খেতেন তা নয়। ওই ক্যান্টিনে সংসদের সমস্ত কর্মী, নিরাপত্তাকর্মী ও অধিবেশনে উপস্থিত থাকা দর্শকরাও সস্তায় খাবার খেতেন।
এতদিন বাজারের প্রচলিত দামের তুলনায় অনেক অনেক সস্তায় সংসদের ক্যান্টিনে খাবার মিলত। যা নিয়ে বহুদিন ধরে বিতর্ক চলছিল। অনেকেই বলেন, সাংসদরা প্রচুর টাকা বেতন ও ভাতা পান। তারপরেও কেন সাংসদের খাবারে এই বিপুল পরিমান ভর্তুকি দিতে হবে।
দেশের আমজনতা যেখানে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে নাভিশ্বাস ফেলছে তখন সাংসদদের কেন এই বিশেষ সুবিধা। শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে কেন্দ্র সংসদের ক্যান্টিনে ভর্তুকি দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে।
এতদিন সংসদের ক্যান্টিন চালাত উত্তর রেল। টানা ৫০ বছর ওই দায়িত্ব পালন করেছে তারা। এবার ক্যান্টিনের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে আইটিডিসির হাতে। ২০১৯-এই কেন্দ্র সংসদের ক্যান্টিনে খাবারের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কেন্দ্র ঠিক করেছিল, সংসদের ক্যান্টিনের জন্যে আর কোনও ভর্তুকি দেওয়া হবে না।
সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করেছেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। অধীরের দাবি, একমাত্র সাংসদদের ছাড়া অন্যদের ক্ষেত্রে ভরতুকি তুলে নেওয়া ঠিক নয়। নতুন নিয়মে সংসদে যারা খাবার খাবেন তাঁদের সকলকে একই রকম দাম দিতে হবে।
এদিন আইটিডিসির পক্ষ থেকে ৫৮ টি খাবারের তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে। আইটিডিসি দামের তালিকা থেকে জানা গিয়েছে, সংসদের ক্যান্টিনে এবার একটি আলু বড়ার দাম হতে চলেছে ১০ টাকা।
অন্যান্য খাবারের দামের মধ্যে আছে, সেদ্ধ সবজি ৫০ টাকা, রুটি ৩ টাকা (প্রতি পিস) চিকেন বিরিয়ানি ১০০ টাকা, চিকেন কাটলেট ১০০ টাকা, চিকেন ফ্রাই ১০০টাকা, ডাল তরকা ২০ টাকা, মশলা ধোসা ৫০ টাকা, ডিমের কারি ৩০ টাকা, টক দই ১০টাকা। মটন বিরিয়ানি ১৫০ টাকা, মটন কাটলেট ১৫০ টাকা এবং মটনকারি ১২৫ টাকা।