এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে নিউ ক্যাপিটাল কমপ্লেক্স থানার এক পুলিশ অফিসার জানান প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যেই এ ধরনের আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যপাল। এবছর পুলিশ, টিএসআর, সিআরপিএফ, আসাম রাইফেলস সহ অন্যান্য বাহিনীর মোট দশটি প্লাটুন মহড়া প্রদর্শন করবে। যাবতীয় প্রস্তুতি ইতিমধ্যে চূড়ান্ত হয়ে গেছে। আরক্ষা প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে আগরতলা শহর রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে যানবাহন তল্লাশি চালানো হলেও কোথাও থেকে কোনো অস্ত্রশস্ত্র বা আপত্তিকর কোনো জিনিসপত্র উদ্ধার করা যায়নি।
যানবাহনে করে যাতে কোনো ধরনের অস্ত্রশস্ত্র গোপন করা যেতে না পারে সেজন্যই এই ধরনের আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে অতিবাহিত করার জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি চূড়ান্ত করা হয়েছে বলেও প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। রাজ্যের সব কটি থানা নিরাপত্তা বাহিনীর ক্যাম্প সহ সর্বত্র সর্তকতা জারি করা হয়েছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। যেকোনো ধরনের অনুপ্রবেশ প্রতিহত করতে বিএসএফের জওয়ানদের কঠোর মনোভাব গ্রহণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।
আন্তর্জাতিক সীমান্ত পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান সার্বিকভাবে অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে বলে প্রশাসনের কর্মকর্তারা আশা ব্যক্ত করেছেন। রাজ্যের অন্যান্য স্থান থেকে প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে নিরাপত্তা-ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর খবর মিলেছে। পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা সতর্ক রয়েছে।