রবিবার সকালে চিকিৎসকরা প্রাথমিক পরীক্ষার পর অনুমান করছেন, লালুপ্রসাদের নিউমোনিয়া হয়েছে। তবে প্রাক্তন রেলমন্ত্রীর করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ। রক্ত পরীক্ষা ও স্ক্যান রিপোর্ট সাধারণ সংক্রমণ ধরা পড়েছে। শারীরিক অসুস্থতার কারণে বেশ কিছুদিন ধরেই রাঁচির রিমসে ভর্তি ছিলেন লালুপ্রসাদ। শুক্রবার তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌছন স্ত্রী রাবড়ি দেবী এবং দুই ছেলে তেজপ্রতাপ ও তেজস্বী।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, লালুর কিডনির অবস্থা আদৌ ভাল নয়। কিডনি মাত্র ২৫ শতাংশ কাজ করছে। তাঁর হার্টের অপারেশন হয়েছে। এরই মধ্যে ফুসফুসে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। শুরু হয়েছে প্রবল শ্বাসকষ্ট। লালুর রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রাও স্থিতিশীল নয়। এমনিতেই উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন তিনি। লালুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা তাঁর খোঁজ নিতে থাকেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেও লালুর শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন। প্রয়োজনে তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা কথা বলেন।
এরপর লালুকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে দিল্লি উড়িয়ে আনা হয়। উল্লেখ্য, পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির একাধিক মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে ২০১৮ থেকে জেলে রয়েছেন লালু। তবে জেলে থাকলেও শারীরিক অসুস্থতার কারণে বেশিরভাগ সময় তিনি রাঁচির রিমসে ভর্তি রয়েছেন। শনিবার চিকিৎসকদের সম্মতির পাশাপাশি নিম্ন আদালতের অনুমতি নিয়ে দিল্লি আনা হয় তাঁকে। আদালতের অনুমতি পেতে সময় লাগায় রাত হয়ে যায়।