আর্থিক অসচ্ছলতার দরুন চিকিৎসায় ঘাটতিতে মৃত্যু ১০৩২৩ এর আরো একজনের

স্টাফ রিপোর্টার, অমরপুর, ১০ ডিসেম্বর।। আর্থিক অনটনে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন আরো একজন চাকরিচ্যুত শিক্ষক। মৃত ওই শিক্ষকের নাম মনোহরি জমাতিয়া। তার বাড়ি অমরপুরের থালছড়া এলাকায়।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে মনোহরী জমাতিয়া নামে চাকুরিচ্যুত ওই শিক্ষক বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। আর্থিক অনটনের কারণে তাকে উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যায়নি। বিনা চিকিৎসাতেই তার মৃত্যু হয়েছে। তার মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়তেই থালছড়া সহ এলাকাগুলিতে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।শিক্ষক-শিক্ষিকার মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮১। উল্লেখ্য দীর্ঘ নয় মাসের অধিক সময় ধরে তারা বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না। আদালতের নির্দেশে তারা প্রত্যেকে চাকরিচ্যুত।চাকরিচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পরিবারগুলি অসহায় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করছে।

অনেকের পরিবারে অনাহার-অর্ধাহারে দেখা দিয়েছে।অনেকেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। অসুস্থ হয়ে পড়া অনেকেই চিকিৎসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অসুস্থ হয়ে পড়লেও চিকিৎসা করানোর মতো আর্থিক সামর্থ্য তাদের নেই।ফলে একের পর এক বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটে চলেছে।চাকরিচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পুনরায় চাকুরীতে নিযুক্তির কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে আরো বহু পরিবার জটিল সমস্যার সম্মুখীন হবে।শুধু অনাহার-অর্ধাহারে নয় বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর তালিকা আরও দীর্ঘ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। উল্লেখ্য বর্তমান বিজেপি আইপিএফটি জোট সরকার ক্ষমতায় আসার আগে নির্বাচনী ইশতেহারে চাকরিচ্যুত এইসব শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করা সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।

কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর তারা চাকরিচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সরকারি দপ্তরে নিযুক্তির ব্যাপারে প্রয়োজনীয় তেমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। আশ্বাসবাণী ছাড়া তাদের ভাগ্যে কিছুই জুটেনি।রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও তাদেরকে আশ্বস্ত করেছিলেন তাদের বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করবেন। এজন্য মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব দুই মাসের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন। গত ডিসেম্বর মাসেই নির্ধারিত সময়সীমা অতিক্রান্ত হয়ে গেছে।নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে রাজ্য সরকার চাকরিচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পুনরায় সরকারি চাকরিতে নিযুক্তির কোন উদ্যোগ গ্রহণ না করায় তারা বাধ্য হয়েই আগরতলা সিটি সেন্টারের সামনে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান শামিল হয়েছে। গণ-অবস্থান চলাকালেও বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। পরপর এসব ঘটনা পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তুলতে শুরু করেছে।তারপরও রাজ্য সরকার চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে না। ফলে সমস্যা আরো জটিল আকার ধারণ করার সম্ভাবনা প্রবল।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?