অনলাইন ডেস্ক, ১৮ ডিসেম্বর।। বাবা-মাকে খুন করার অভিযোগ উঠল কিশোরী মেয়ের বিরুদ্ধে। ১৭ বছরের মেয়ে যেভাবে তার বাবা-মাকে কুপিয়ে খুন করেছে তা দেখে সকলে অবাক। ঘটনার পর বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছে ওই কিশোরী।
পুলিশ তাকে খুঁজে বের করতে সব ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছে। চাঞ্চল্যকর এই জোড়া খুনের ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে। নিহত ব্যক্তির নাম জ্যোতিপ্রসাদ শর্মা। তিনি মধ্যপ্রদেশ পুলিশের আর্মড ফোর্সের কনস্টেবল ছিলেন। তাঁর স্ত্রীর নাম নীলম। শুক্রবার সকালে ওই দম্পতির রক্তমাখা ছিন্নভিন্ন দেহ বাড়িতেই উদ্ধার হয়।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ মনে করছে, ভোররাতে গভীর ঘুমের মধ্যেই কেউ ওই দু’জনকে কুপিয়ে খুন করেছে। এই জোড়া খুনের ঘটনায় পুলিশের সন্দেহের তালিকায় রয়েছে কনস্টেবল জ্যোতিপ্রসাদের ১৭ বছরের মেয়ে এবং তার প্রেমিক। ঘটনার পর থেকেই মেয়ে ও তার প্রেমিকের কোনও খোঁজ মিলছে না। তবে কী কারণে মেয়ে তার মা-বাবাকে খুন করল তা এখনও স্পষ্ট নয়।
ওই কনস্টেবলের প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার খুব ভোরে ওই দম্পতির বাড়ির ভিতর থেকে চিৎকার-চেঁচামেচির শব্দ আসছিল। সে সময় তাদের মেয়েকে বাড়ির সামনে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। ভোর পাঁচটার সময় বাড়ির বাইরে মেয়েটিকে একা দেখে অনেকের মনেই সন্দেহ হয়। তারা মেয়েটিকে প্রশ্ন করলে সে জানায়, মা ও বাবার মধ্যে অশান্তি হচ্ছে। সে কারণেই সে বাড়ির বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
কিন্তু পরে ওই বাড়ি থেকেই দম্পতির দেহ উদ্ধার হয়। এরই মধ্যে ওই নাবালিকা মেয়ে পালিয়ে যায় বাড়ি থেকে। একই সঙ্গে তার প্রেমিকেরও খোঁজ মিলছে না। ঘটনার জেরে এই খুনের ঘটনায় মেয়ে এবং তার প্রেমিকের জড়িত থাকার সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়েছে। পুলিশ ওই দুজনকে খুঁজে বের করতে জোরদার তল্লাশি চালাচ্ছে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, মাসখানেক আগে ওই কনস্টেবলের সঙ্গে তাঁর মেয়ের প্রেমিকের তীব্র কথা কাটাকাটি হয়েছিল। সে কারণেই এই খুন কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।