স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ৩০ নভেম্বর।। ব্রু শরণার্থী পুনর্বাসন নিয়ে সমস্যা সমাধানের দিকেই এগিয়েছে। ত্রিপুরা সরকারের বাছাই করা স্থানেই ব্রু-রা পুনর্বাসনে সম্মতি জানিয়েছেন। তবে, পুনর্বাসন প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু হোক চাইছেন তাঁরা। ত্রিপুরা সরকার তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল এবং কয়েকটি স্থানে পুনর্বাসন নিয়ে কেন্দ্রের অনুমতি মিলতেই শুরু হবে প্রক্রিয়া, আজ সচিবালয়ে বৈঠকে ব্রু শরণার্থী নেতাদের আশ্বস্থ করেছেন উপ-মুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা এবং জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী মেবার কুমার জমাতিয়া।ত্রিপুরার উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা-র পৌরোহিত্বে এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জনজাতি কল্যান মন্ত্রী মেবার কুমার জমাতিয়া, রাজস্ব সচিব তনুশ্রী দেববর্মা, ওএসডি ড. মানস দেব, ব্রু শরণার্থী সংগঠনের প্রতিনিধি এ মাইবুঙ্গা, ব্রুনো মসা, ফিলিপ আপেটো, বিপিন কুমার মসা, উত্তম কুমার আপেটো, লালফামকিমা আপেটো এবং তিপ্রা সংগঠনের চেয়ারম্যান প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মন।বৈঠক শেষে প্রদ্যুৎ কিশোর জানিয়েছেন, ত্রিপুরা সরকারের কাছে প্রতিশ্রুতি পূরণে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। কারণ, চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর অনেকটা সময় অতিবাহিত হয়ে গেছে।
পাশাপাশি, পানিসাগরে ফায়ারমেন বিশ্বজিৎ দেববর্মা-র পরিবার-কে সহায়তা ও তার হত্যার ঘটনায় বিচারের দাবি জানানো হয়েছে।এদিকে, আজকের বৈঠকে আলোচনায় খুবই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ব্রু শরণার্থী সংগঠনের প্রতিনিধি ব্রুনো মসা। তিনি বলেন, ত্রিপুরা সরকারের কাছে দ্রুত পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চালু করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। এ-ক্ষেত্রে ঘর নির্মাণে এখনই উদ্যোগ নেওয়ার জন্য দাবি রেখেছি। তাঁর কথায়, ১৩টি স্থান চিহ্নিত হয়েছে। সেখানে পুনর্বাসনে আমরা সম্মতি দিয়েছি।সচিবালয় সূত্রের খবর, আজকের বৈঠকের পরিনাম স্বরূপ ব্রু শরণার্থী পুনর্বাসন নিয়ে কোন জটিলতা বাকি রইলনা। কারণ, উপ-মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যস্থতায় ব্রু শরণার্থীরাও ত্রিপুরা সরকারের পদক্ষেপে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে, চিহ্নিত স্থানগুলির মধ্যে সংরক্ষিত বনাঞ্চলে পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে ত্রিপুরা সরকার। এ-বিষয়েও ব্রু শরণার্থী সংগঠনের প্রতিনিধি-রা সরকারের সাথে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।