স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ১৬ নভেম্বর।। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের একাধিক উৎসবের মধ্যে একটি হল ভাইফোঁটা। এই উৎসবের পোষাকি নাম ভ্রাতৃদ্বিতীয়া। ধর্মীয় রীতি অনুসারে কার্তিক মাসের শুক্লাদ্বিতীয়া তিথিতে অর্থাৎ কালীপূজার দুই দিন পরে এই উৎসব পালিত হয়।
বাঙালি হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী, এই উৎসব কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের ২য় দিনে উদযাপিত হয়। তবে মাঝে মাঝে এই উৎসব শুক্লপক্ষের প্রথম দিনেও উদযাপিত হয়। ধর্মীয় রীতি অনুসারে রাজ্যে পালিত হচ্ছে ভাইফোঁটা। বিগত বছরের ন্যায় এই বছরও মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি আবাসে আয়োজন করা হয় ভাইফোঁটার।
এইদিন মুখ্যমন্ত্রীকে ভাইফোঁটা দেওয়ার জন্য সকাল থেকে ভিড় জমায় বোনরা। উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ বিজেপির সাধারন সম্পাদিকা পাপিয়া দত্ত, আগরতলা পুর নিগমের কাউন্সিলার রত্না দত্ত সহ আরও অনেকে। এক এক করে সকলে এইদিন মুখ্যমন্ত্রীকে চন্দনের ফোটা দিয়ে ভাইয়ের বন্ধনে আবদ্ধ করেন এবং মুখ্যমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
মুখ্যমন্ত্রীর সাথে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী জায়া নীতি দেব। বোনদের কাছ থেকে ভাইফোঁটা নেওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব সংবাদ প্রতিনিধিদের সাথে সাক্ষাৎকারে জানান ভাইফোঁটা একটা পরম্পরা প্রথা। ইতিহাস সাক্ষি ভাইকে রক্ষা করার জন্য বোনরা প্রার্থনা করে। এই উৎসব ভাই ও বোনদের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করে। দেশে যতগুলি সংস্কৃতি রয়েছে সেগুলি কোন না কোন ভাবে সমাজ ব্যবস্থাকে সুদৃঢ় করে।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন ওনার দায়িত্ব মহিলাদেরকে রক্ষা করা, তাদেরকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। দেশের প্রধানমন্ত্রী ও রাজ্য সরকার মহিলাদের সশক্তিকরনের জন্য কাজ করছে। মহিলারা যেন সুরক্ষা পায় তার জন্য সমাজ ব্যবস্থাকে আরও সুদৃঢ় করতে হবে। অপরদিকে প্রদেশ বিজেপির সাধারন সম্পাদিকা পাপিয়া দত্ত জানান ভাইফোঁটা দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে পরিচিত।
ভাইফোঁটা উৎসব ভাই ও বোনের সম্পর্কে সুদৃঢ় করে। তাই প্রতি বছর বিজেপি মহিলা মোর্চা এই উৎসবকে বড় করে পালন করে থাকে। কিন্তু এই বছর করোনার প্রকোপ চলছে। তাই সবকিছু মেনে করা হচ্ছে। ভারতীয় জনতা পার্টি এমন একটা দল যেটা সংস্কৃতির ধারক এবং বাহক।
এইদিন বোনদের কাছ থেকে ভাইফোঁটা নিয়ে যথেষ্ট খুশি মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। বোনদের কাছ থেকে ভাইফোঁটা নেওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী বোনদের হাতে উপহার স্বরূপ মিষ্টির প্যাকেট তুলে দেন। বোনরাও এইদিন মুখ্যমন্ত্রীকে ভাইফোঁটা দিতে পেরে যথেষ্ট খুশি।