Turkish: যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি-সহ ১০ দেশের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়েছে তুরস্ক

অনলাইন ডেস্ক, ২০ অক্টোবর।। যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি-সহ ১০ দেশের রাষ্ট্রদূত তুরস্কের নাগরিক সমাজের নেতা ওসমান কাভালার মুক্তির দাবি করেছিলেন। প্রতিক্রিয়ায় তাদের ডেকে পাঠিয়েছে দেশটি।

২০১৭ সাল থেকে জেলে বন্দী কাভালা। ভিযোগ, তিনি ২০১৩ সালে সরকার-বিরোধী বিক্ষোভের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

২০১৬ সালে তিনি ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানকেও সমর্থন করেছিলেন। ৬৪ বছর বয়সী কাভালা এই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

কানাডা, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, সুইডেন ও যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতেরা সোমবার ওই বিবৃতি জারি করেন। সেখানে কাভালার মামলায় ‘দ্রুত বিচার ও ন্যায়বিচার’-এর দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইচ্ছাকৃতভাবে বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বিত করা হচ্ছে। এর ফলে তুরস্কের বিচারব্যবস্থার স্বচ্ছতা, গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধা আছে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে।

তুরস্ককে বলা হয়েছে, তারা যেন কাউন্সিল অব ইউরোপের রায় মেনে নেয়। এই মানবাধিকার সংগঠনে তুরস্ক ১৯৫০ সালে যোগ দিয়েছিল।

কাউন্সিল অব ইউরোপ বলেছে, ৩০ নভেম্বর তাদের পরবর্তী বৈঠকের আগে কাভালাকে মুক্তি না দিলে তারা তুরস্কের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ তুলবে এবং ব্যবস্থা নেবে।

তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, কোনো চালু মামলায় রাষ্ট্রদূতেরা কোনো সুপারিশ দেবেন, এটা মেনে নেওয়া যায় না।

এক টুইটে তিনি বলেন, আপনারা যে প্রস্তাব দিয়েছেন, তার থেকে আপনারা গণতন্ত্র ও আইন কতটা বোঝেন তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিচ্ছে।

ব্যবসায়ী কাভালা চার বছর ধরে জেলে বন্দী। কিন্তু তার কোনো শাস্তি ঘোষণা হয়নি। ইউরোপিয়ান কোর্ট অব হিউম্যন রাইটস তাকে মুক্তি দিতে বলার পরেও কোনো কাজ হয়নি।

২০১৩ সালের সরকার-বিরোধী আন্দোলনে জড়িত থাকা সংক্রান্ত অভিযোগ থেকে গত বছর তিনি মুক্তি পান। কিন্তু চলতি বছরে পুরোনো রায় বদলে দেয় আদালত। এর সঙ্গে ২০১৬ সালের ব্যর্থ অভ্যুত্থানে তার জড়িত থাকার অভিযোগও সামনে আনা হয়। এখন তারই বিচার চলছে।

 

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *