অনলাইন ডেস্ক, ৭ ডিসেম্বর।। গত বছর আইএসএলে দুজনেই ১৫টি করে গোল করেছিলেন। এবারও তাঁরা রয়েছেন দুর্দান্ত ছন্দে। কিন্তু সোমবার ফিজির স্ট্রাইকার রয় কৃষ্ণকে পিছনে ফেলে যে একধাপ এগিয়ে যাবেন লিথুয়ানিয়ার স্ট্রাইকার নেরিজাস ভালকিন্স, তা সম্ভবত কেউ কল্পনাও করতে পারেননি। চলতি আইএসএলে এই প্রথম জয় পেল জামশেদপুর এফসি-ও। পরিসংখ্যান কিন্তু বলছে, এ দিনের ম্যাচে এটিকে মোহনবাগানের দাপট ছিল বেশি। ম্যাচে ৫২ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রাখেন লোপেস আন্তোনিও হাবাসের দলের ফুটবলাররা। পুরো ম্যাচে পাসিং ছিল ৩২৩। প্রতিপক্ষের গোল লক্ষ্য করে শট ছিল ৬টি।
কিন্তু তার পরেও জয়ের অভ্যাসকে ধরে রাখা গেল না মাঝমাঠে সে ভাবে ম্যাচকে নিয়ন্ত্রণে না রাখতে পারার ব্যর্থতায়। ৩০ মিনিটে সে ভাবেই প্রথম গোল পেয়ে যায় জামশেদপুর। কর্নার থেকে বক্সের বাইরে থেকে সেন্টার করেন আইতর মনরয়। এটিকে মোহনবাগান রক্ষণকে এই আইপিএলে প্রথমবার পরাস্ত করে ভালকিন্স জোরালো হেডে গোল করে যান। অনেক চেষ্টা করেও গোল রুখতে পারেননি অরিন্দম ভট্টাচার্য। আরল এ দিনই প্রথম হাবাসের দলের রক্ষণে নজরে এল অনেক ফাঁকা স্থান। সন্দেশ এবং তিরির মাঝখান থেকে ভালকিন্স যখন হেড করছেন, তৃতীয় কাউকে দেখা গেল না, যিনি লিথুয়ানিয়ার স্ট্রাইকারকে মার্কিং করছেন। ঠিক যে কাজটা আওয়েন কয়েল শুরু থেকে করেছিলেন রয় কৃষ্ণের জন্য।
গোলের মধ্যে থাকা হাবাসের সেরা অস্ত্রকে নিষ্ক্রিয় রাখতে মার্কার হিসেবে লাগিয়ে দিয়েছিলেন আইতর মনরয়কে। ৮০ মিনিটে লম্বা পাস ধরে কৃষ্ণ গোল করলেও বাকি ম্যাচে তাঁকে সেভাবে নড়ার সুযোগই দেননি মনরয়। তারই সঙ্গে প্রবীর দাসের উইং ধরে উঠে আসা থামাতে জ্যাকিচন্দ্র সিংকে দারুণ ভাবে কাজে লাগালেন কয়েল। প্রবীর পাল্টা আক্রমণ তৈরি করার সুযোগই পেলেন না। রবিবার হাবাস জানিয়েছিলেন, জামশেদপুরকে হারাতে গেলে সেন্ট্রাল মিডফিল্ডকে আরও দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে। এ দিন কিন্তু গ্লেন মার্টিন্স বা ইনম্যান সে ভাবে বল কেড়ে নিয়ে এটিকে মোহনবাগানকে বিপজ্জনক করে তুলতে পারলেন না। ফলে লড়াই করেও শেষরক্ষা হল না। ইনজুরি টাইমে গোল করার সুযোগ পেয়েছিলেন মনবীর সিং। তবে তাঁর শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ার পরেই থেমে গেল হাবাসের দলের জয়রথের গতি।