মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন গণধর্ষিতা দুই যুবতীর সাথে দেখা করলেন

স্টাফ রিপোর্টার, চুরাইবাড়ি, ১৮ নভেম্বর৷৷ বহিঃরাজ্যে চুরাইবাড়ি থানাধীন শনিছড়া এলাকার মাঝবয়সী দুই মহিলা গনধর্ষিতার বাড়িতে গেলেন মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন৷ ঘটনার সঠিক তদন্তক্রমে ধর্ষনকারীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানান৷ ঘটনার বিবরণে প্রকাশ,দীপাবলি তথা কালী পূজার রাতে চুড়াইবাড়ি থানাধীন শনিছড়া এলাকার ২ মাঝবয়সী মহিলা গণধর্ষণের শিকার হন পার্শবর্তী রাজ্য অসমে৷

ঘটনাটি সংঘটিত হয় অসমের করিমগঞ্জ জেলার নিলাম বাজার এলাকায়৷ ধর্ষিতার অভিযোগ,গত ১৩ নভেম্বর অর্থাৎ শুক্রবার উত্তর জেলার চুড়াইবাড়ি থানা এলাকার শনিছড়ারর ২ মাঝবয়সী মহিলা অসমের শিলচর মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত নিজের মাকে দেখতে যায়৷ মাকে দেখার পর শিলচর মেডিকেল কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার উদ্যেশ্যে সন্ধ্যা নাগাদ একটি অলটো ইন্ডিকা গাড়ি ভাড়া করে ত্রিপুরার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়৷

মাঝ রাস্তার গাড়ির চালক কুমতলব করে গাড়িটি ভুল রাস্তায় নিয়ে গিয়ে রাত্রি ১ টার সময় করিমগঞ্জ জেলার নিলাম বাজার এলাকার একটি নির্মীয়মান ঘরে দুই যুবতীকে বলপূর্বক গণধর্ষণ চালায় আরও ৫ যুবক ও গাড়ির চালক৷ তারপর দুই যুবতী সুযোগ বুঝে ঘটনাস্থল থেকে পলায়ন করে স্থানীয় অসমের নিলাম বাজার থানায় একটি গণ ধর্ষণের মামলা রুজু করে৷গণ ধর্ষণের মামলা ও ধর্ষিতা দুই মহিলার জবানবন্দির উপর ভিত্তি করে অসম পুলিশ ঘটনাস্থলে সরজমিনে তদন্ত চালিয়ে বহু সামগ্রী জব্দ করে৷সাথে আটক করে গণধর্ষণকাণ্ডের সাথে জড়িত এক নরপিচাশকে৷

ধৃত যুবক স্থানীয় নিলাম বাজারের আব্দুল আহাদ৷তারপর ধৃত যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে পরের দিন গনধর্ষন কান্ডের সাথে জড়িত নিলাম বাজার এলাকা থেকে আরো তিনজনকে আটক করে অসম পুলিশ৷

পাশাপাশি এ দিন রাজ্যের চুরাইবাড়ি থানার সহযোগিতা নিয়ে ফুলবাড়ি এলাকা থেকে গনধর্ষন কান্ডে ব্যবহহৃত রঙের টাটা ইন্ডিকা গাড়ি সহ ঐ এলাকার সুফান আলি ও আনোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করে অসম পুলিশ৷ বর্তমানে গনধর্ষন কান্ডে অভিযুক্ত ৬ ধর্ষনকারী অসমের জেল হাজতে৷ এদিকে রাজ্যের দুই মাঝবয়সী মহিলা গনধর্ষন কান্ডে জড়িতদের কঠোর শাস্তি প্রদানের দাবি রাজ্যের বিভিন্ন হলের৷ অপরদিকে আজ সরজমিন ধর্ষিতার বাড়িতে পরিদর্শনে গেলেন রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বর্ণালী গোস্বামী৷

চেয়ারপারসন বর্ণালী গোস্বামী ধর্ষিতার বাড়িতে গিয়ে তাদের পরিবারের কাছ থেকে বিস্তারিত ঘটনার খোঁজখবর নেন৷ ধর্ষিতার পরিবার সূত্রে মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন জানতে পারেন যে,১৩ নভেম্বর অর্থাৎ গত শুক্রবার শনিছড়া এলাকা থেকে সাদা রংয়ের একটা গাড়ি দিয়ে ধর্ষিতা মাঝবয়সী দুই মহিলা আসমের উদ্দেশ্যে গিয়েছিলেন৷

আর মাঝে রাস্তাতেই গণধর্ষণের শিকার হন রাজ্যের মাঝবয়সী দুই জনজাতি মহিলা৷বর্তমানে তদন্তের স্বার্থে গণধর্ষণের শিকার দুই মাঝবয়সী মহিলা অসমের করিমগঞ্জ জেলায় রয়েছেন বলে জানান চেয়ারপার্সন বর্ণালী গোস্বামী৷ধর্ষিতার পরিবারের দাবি সঠিক তদন্ত করে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি প্রদানের৷ পাশাপাশি রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বর্নালী গোস্বামী ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান৷

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *